মাদারিপুর ইতিবৃত্ত (পেপারব্যাক)
মাদারিপুর ইতিবৃত্ত (পেপারব্যাক)
৳ ১০০   ৳ ৭৫
২৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত  ছাড়

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

মাদারিপুর অঞ্চলে কবে, কোথায় প্রথম জনবসতি গড়ে উঠেছে তা নির্ণয় করা এক প্রকার অসম্ভব। তবে বঙ্গে জনপ্রবাহের আলোকে মাদারিপুরে জন প্রবাহের ঐতিহাসিক পর্যালোচনা সম্ভব। ইতিহাস গবেষণায় যে সব বড় বাধা আছে তার মধ্যে তথ্যের অপ্রতুলতা ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের অসঙ্গতি অন্যতম। এই দুটোর কারণে চাইলেও একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গুছানো রচনা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রাচীন বাংলার জনপ্রবাহের কিছু সংবাদ পাওয়া যায় বেদপুরাণ, মহাভারত গ্রন্থ, আলেকজান্ডার ও টলেমির বর্ণনা এবং বিভিন্ন লিপি ও পট্রলী সংবাদ থেকে। প্রাচীনকালে বাংলাদেশ অঞ্চল যে সব জনপদে বিভক্ত ছিল বর্তমান হিসেবে বঙ্গ তার একটি বিভাগ মাত্র যা বর্তমান বাংলাদেশের দক্ষিণ বঙ্গকে বোঝায়। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাঠে পুন্ড্র, গৌড়, সুবর্নগ্রামের ইতিহাসকেই বঙ্গের ইতিহাস হিসেবে দেখানো হয়, যেখানে প্রাচীনকাল থেকেই মাদারিপুর সংলগ্ন অঞ্চল অর্থাৎ কোটালিপাড়া অথবা বিক্রমপুর কেন্দ্রিক স্বাধীন বঙ্গ রাষ্ট্রের উপস্থিতি প্রায় উপেক্ষিত। গুপ্ত পূর্ব যুগে কোটালিপাড়া কেন্দ্রিক বঙ্গ, গুপ্ত পরবর্তী ও শশাঙ্ক পূর্ববর্তী কোটালিপাড়া কেন্দ্রিক স্বাধীন বঙ্গ, শাশাঙ্ক ছিলেন গৌড়েশ্বর অথচ ইতিহাস পাঠে বলা হয় বঙ্গের প্রথম স্বাধীন নৃপতি শশাঙ্ক! পাল পূর্ববর্তী যুগকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়েছে যা আমাদের বঙ্গের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, গৌড় কেন্দ্রিক পাল সম্রাজ্যের রাজা ধর্মপালের সময় থেকে রাজা প্রথম বিগ্রহপালের সময় পর্যন্ত মাত্র ১০০ বছর বঙ্গ পাল সম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল অথচ পালদের বলা হয় বাংলার সম্রাজ্য! সেন পূর্ববর্তী বিক্রমপুর কেন্দ্রিক স্বাধীন বঙ্গ, সেন রাজারা নিজেদের গৌড়েশ্বর দাবি করলেও গৌড়ে সুলতানি শাসনাভুক্ত হলে তারা বিক্রমপুর কেন্দ্রিক স্বাধীন বঙ্গের অধিপতি হন, ইতিহাস পাঠে বখতিয়ার খলজিকে বঙ্গ বিজেতা বলা হলেও তিনি ছিলেন মূলত গৌড় বিজেতা আর এর পরও প্রায় ২৫০ বছর বঙ্গ স্বাধীন ছিল। পাল ও সেন রাজাদের আদর্শ ছিল গৌড়েশ্বর হিসেবে পরিচিত হওয়া। আওরঙ্গজেবের আমলে যে অংশ নবাব শায়েস্তাখানের শাসনাধীন ছিল তাকে বলা হতো গৌড় মণ্ডল। তবে সমগ্র বাংলাকে গৌড়ীয় করার প্রচেষ্টা সার্থক হয় নাই। আসলে তা শেষে বঙ্গ নামই গ্রহণ করেছে। বর্তমান বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের যে অংশকে বৃহত্তর বঙ্গ দেশ বলা হয় তা মূলত সুলতানি আমলে শাহী বাঙ্গালা সালতানাতের মাধ্যমে সূত্রপাত, এরপর মুঘল আমলে সুবাহ বাংলা প্রদেশ এবং সর্বশেষ ব্রিটিশ আমলে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে পূর্ণতা পায়।
মাদারিপুরের ইতিহাস বলতে আমরা ফরিদপুরের তথা বৃহত্তর বঙ্গ দেশের ইতিহাসের আলোকে পর্যালোচনা করি, সেখানে মূল বঙ্গ আর মাদারিপুর অঞ্চলের প্রকৃত ইতিহাস উপেক্ষিত হয়। যেমন মুঘলদের বিপক্ষে বিক্রমপুরের কেদার রায় ছিলেন এক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, সাহসী বীর। বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে ঈসা খাঁ’র গুণগান গাইতে গাইতে ঐতিহাসিকদের মনোযোগ না পাওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ বাঙালী শাসক। আবার বর্তমানে বিক্রমপুর বলতে মুন্সিগঞ্জকে নির্দেশ করা হয় যদিও মুন্সিগঞ্জ অঞ্চল ছিল বিক্রমপুরের উত্তরাংশ এবং মূল বিক্রমপুরসহ দক্ষিণে চিকন্দি থেক ইদিলপুর পর্যন্ত বিস্তৃত যা ছিল পদ্মার উত্তর পাড়ে আর মাদারিপুর ছিল পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে। মূলত মাদারিপুরের ইতিহাস চন্দ্রদ্বীপ, কোটালিপাড়া, বিক্রমপুর, ইদিলপুর ও সমতটের সাথে সম্পৃক্ত।
এই গ্রন্থে সংক্ষিপ্ত আকারে মাদারিপুরের ইতিহাস পরিক্রমা উল্লেখ করা হয়েছে।

Title : মাদারিপুর ইতিবৃত্ত
Author : লিখন মাহমুদ
Publisher : বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
Edition : 1st Published, 2024
Country : Bangladesh
Language : Bengali

১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ২৮ জুলাই পূর্ণিমা রাত ২১.০৫ মিনিটে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার বামুন্দি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্ম, যদিও পৈতৃক নিবাস বা স্থায়িভাবে মাদারিপুর জেলার পানিছত্র এলাকার বাসিন্দা। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং -এ স্নাতক শেষে চট্টগ্রামে স্মার্ট জিন্স লিমিটেডের উৎপাদন সমন্বয়কারী হিসেবে যোগদানের চার মাস পর ওয়েট অ্যান্ড ড্রাই প্রসেসিং প্ল্যান্টে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি হয়। তবে বর্তমানে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি পেশাদার ফ্রিল্যান্সার, তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ী হিসেবে কর্মরত।

পিতা সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব হওয়ার সুবাদে ছেলেবেলা থেকেই সাহিত্য−সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যাতায়াত। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন পত্র−পত্রিকায় বেশ কয়েকটি গল্প−কবিতা প্রকাশিত হয়, যদিও শখের বসেই লেখা−লেখি, তবে বর্তমানে গবেষণাধর্মী লেখালেখিতেই মনোযোগ বেশী। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে গবেষনামূলক গ্রন্থ "মাদারিপুর ইতিবৃত্ত" প্রথম প্রকাশিত হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর শাখা থেকে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত "ঊষা" নামের সাহিত্য পত্রকা সম্পাদনার মধ্য দিয়ে সম্পাদনায় হাতে খড়ি। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সম্মাননা পদকও মিলেছে। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুরে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম শুরু, তারপর ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে অধিনায়ক এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে সমন্বয়ক এর দায়িত্ব দেয়া হয়। বর্তমানে বিশ্বসহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর শাখা সংগঠক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। এছাড়াও ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে টিআইবি-সনাক মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক ও ইয়েস সদস্য এবং ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে টিআইবি ঢাকা ইয়েস-১ এ সদস্য হিসেবে সম্পৃক্ত। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ ও সামাজিক উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন এর লক্ষ্যে একটি সেবা-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিএলজি প্রতিষ্ঠা করা হলে, এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও আক্ষরিক এর সম্পাদক, এম.এম. হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরির জীবন সদস্য, সুনীল সাহিত্য পুরস্কার ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি, বাংলা সাহিত্য় একাডেমি ও প্রফেসর নুরজাহান বেগম ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]